গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবেন?

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে আর্ট এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে দৃশ্যমান ছবি বা নকশা তৈরি করা হয়। এখানে কম্পিউটার সফ্টওয়্যার এর মাধ্যমে কল্পনা, তথ্য এবং গ্রাহকদের ধারণাগুলির সাথে যোগাযোগ করার জন্য, দৃশ্যমান ধারণা তৈরি করে। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যেমন ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইনডিজাইন, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে লোগো, ফ্লায়ার, পেজ-লেআউট, বিজ্ঞাপণ, ব্রুশিয়ার, ম্যাগাজিন ,কর্পোরেট রিপোর্ট এবং নকশা তৈরি করা। টাইপোগ্রাফি, ফটোগ্রাফি এবং চিত্রনাট্য ব্যবহার করে কল্পনার সাথে বাস্তবের সমন্বয় করা।

আরেকটু খোলামেলাভাবে চিন্তা করলে আপনি মনের মধ্যে যা কিছু চিন্তা করেন তা যদি কম্পিউটারের সাহায্যে প্রিন্ট করেন অথবা রঙ পেন্সিল এর সাহায্যে কাগজে কলমে অংকন করেন তবে সেটাই গ্রাফিক্স।

গ্রাফিক্স ডিজাইনে কেন শিখবেন?

সৃজনশীল পেশাঃ গ্রাফিক্স ডিজাইনে মুখস্থ বিদ্যা কিংবা কপি পেষ্টের কোন সুযোগ নাই বরং এখানে আপনার নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে হবে। কাজেই আপনার মধ্যে যদি আকা-আকির সৃজনশীলতা থাকে তবে আপনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে একটি সৃজনশীল পেশা।

ফ্রিলান্সিং এবং আউটসোর্সিং: গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার বড় সুবিধা হলো গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং করতে পারবেন। যেহেতু বর্তমান সময়ে সব কিছু কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে তাই মানুষকে আকর্ষন করতে প্রাফিক্স খুবই গুরুত্বপুর্ন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক বেশি যার ফলে আয়ের পরিমান ও বেশি। গ্রাফিক্সের চাহিদা এতটাই বেশি যে শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্যে রয়েছে অনেক গুলো ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস।

ডিজাইন বিক্রিঃ আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার হন তবে আপনার ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি বিক্রি করে সারাজীবন অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ডিজাইন বিক্রির জন্যে অনেক মার্কেট প্লেস রয়েছে।

স্বাধীনতাঃ আপনি আপনার ইচ্ছামত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন যখন যেখানে খুশি।

চাকুরির সুযোগঃ বিভিন্ন গ্রাফিক্স ফার্ম কিংবা প্রতিষ্ঠানে আপনি ট্রেইনার হিসেবেও কাজ করেও অনেক টাকা রোজগার করতে পারবেন।

এছাড়াও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সিনেমার ভিএফেক্স, এনিমেশন সিনেমা, কার্টুন সহ ইন্ডাষ্ট্রিতে রয়েছে এর নানাবিধ ব্যাবহার। একেবারে পরিস্কার ভাবে চিন্তা করলে আপনি যা কিছু চিন্তা করবেন তা যদি কোন রঙ হয় আর সেটার বাস্তব রুপ কিংবা অংকন করতে গেলেই গ্রাফিক্সের প্রয়োজন হবে, আর নিশ্চয়ই সেই কাজ টা কোন একজন ডিজাইনার করলে তার একটা মজুরি আছে আর এভাবেই আয়ের সুযোগ টা চলমান থাকে।

গ্রাফিক্স নিয়ে আরো পোষ্ট পেতে সাথেই থাকুন

প্রোগ্রামিং কি? কেন? কিভাবে?

প্রোগামিং কি?

প্রোগামিং হচ্ছে এক ধরনের ভাষা, যা দিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রাম লেখা যায় এবং এই প্রোগ্রামিংগুলোর সাহায্যে কম্পিউটারকে কোন গননামুলক কাজ করার নির্দেশ দেয়া যায় এবং সম্ভব হলে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন প্রিন্টার, লাইট, ফ্যান, রোবট, ড্রোন, কৃষি যন্ত্রপাতি, সহ নানাবিধ মেকাট্রনিক্স কম্পোনেন্ট খুব সহজে নিয়ন্ত্রন করা যায়।

প্রোগ্রামিং এর ইতিহাস……

অ্যাডা অগাস্টা (জন্ম ডিসেম্বর ১০, ১৮১৫- মৃত্যু নভেম্বর ২৭,১৮৫২) কে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারনার একজন প্রবর্তক মনে করা হয়। তিনি ইংরেজ কবি লর্ড বাইরনের কন্যা আডা বাইরন এবং একমাত্র সন্তান। স্যার চার্লস উইলিয়াম ব্যাবেজ(এনালাইটিকাল ইঞ্জিন এর প্রবক্তা) যখন তার ডিফারেন্স মেশিন বা এনালাইটিকাল ইঞ্জিন নামক কম্পিউটার আবিষ্কার নেশায় মত্ত, তখন তার গণিত বিষয়ক বিশ্লেষণী ক্ষমতার দ্বারা বুঝতে পেড়েছিলেন এই কম্পিউটার গুলোর নাম্বার ক্রাঞ্চিং এর অমিত সম্ভাবনা সম্পর্কে। চার্লস ব্যাবেজ তাই লিখে গেছেন তার Decline of science in England এর বইয়ে। একটা সময়ে এই অসামান্য নারী চার্লস ব্যাবেজ কে এসব সম্ভাবনার কথা জানান ও তার কাজকে আরো বেগবান করেছিলেন তাই অ্যাডা অগাস্টা কে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার বলা হয়।

জনপ্রিয় কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ…..

Java-Script, Python, C++, Java, PHP, Rubi, Perl, Ajax, C, Go, Hack, Asp.net, D, Erlang, Haskell

প্রোগ্রামারদের পারিশ্রমিক কেমন হয়……

কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের বেতন নির্ভর করে তারা কতটা দক্ষ এবং কয়েকটি ভাষায় তাদের দক্ষতা কতখানি তার উপর। বিজনেস ইনসাইডার এক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে জানিয়েছে, কোন ভাষার প্রোগ্রামারদের যুক্তরাষ্টে গড় বেতন কত?

পার্ল-৮২,৫১৩ (ডলার বাৎসরিক)

ভিজুয়াল বেসিক-৮৫৯৬২(ডলার বাৎসরিক)

এস কিউ এল-৮৫,৫১১(ডলার বাৎসরিক)

সি শার্প-৮৯,০৭৪(ডলার বাৎসরিক)

জাভাস্ক্রিপ্ট-৯১,৪৬১(ডলার বাৎসরিক)

সি++ ৯৩,৫০২(ডলার বাৎসরিক)

জাভা- ৯৪,৯০৮(ডলার বাৎসরিক)

পাইথন-১০০, ৭১৭ (ডলার বাৎসরিক)

অবজেক্ট সি-১০৮,২২৫(ডলার বাৎসরিক)

রুবি-১০৯,৪৬০(ডলার বাৎসরিক)

 বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রোগ্রামিং এবং প্রোগ্রামারদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা তাদের স্যালারি বেশ ভালো অংকের। শুধু সফটওয়্যার ফার্ম কিংবা প্রতিষ্ঠান ছারাও ফ্রিল্যান্সিং করে প্রোগ্রামাররা বিভিন্ন মার্কেট প্লেস থেকে(ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ফাইভার ডট কম, আপওয়ার্ক ডট কম সহ আরো অনেক মার্কেটপ্লেস থেকে)  হাজার হাজার ডলার রোজগার করতেছে।

জনপ্রিয় কিছু সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে যে সকল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যাবহার করা হয়েছে……

YouTube (Java script, c, c++, python, java,go)

Google(Java script, c, c++, python, java,go)

Yahoo(Java script, PHP)

Amazon(Java script, java,c++, Perl)

Microsoft(Java script, PHP, Hack)

Ebay.com(JavaScript, java, Scala)

Pinterest(Java script, Django, Python, Erlang)

MSN( Javascript, asp.net)

Twitter(Java script, c++, java, Scala, Ruby on Rails)

Facebook(JavaScript, Hack, PHP, Python, c++, java, Erlang, D, X HP, Haskell)

প্রোগ্রামিং শেখার সহজ কিছু মাধ্যম……

খুব সহজে প্রোগ্রামিং শেখার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে যেমন, আপনি বই পরে কিংবা কোন ওয়েব সাইটের ঢুকে কিংবা ইউটিউব থেকে সার্চ করেও খুব সহজে প্রোগ্রামিং শিখতে পারবেন। এক্ষেত্রে জনপ্রিয় কিছু ওয়েব সাইট হলো…… W3 school, Code Academy, Coursera, Udacity, khan Academy, Lynda.com, Stack Overflow সহ আরো অনেক।

প্রোগ্রামিং এবং টেকনোলজি রিলেটেড আরো নিউজ আপডেট পেতে সাথেই থাকুন।আরো অনেক